“রাজাকার”
আবু রায়হান
তুমি কে আমি কে?
রাজাকার রাজাকার।
এ স্লোগানে মুখরিত ছিল বাংলার রাজপথ,
সেদিন থেকেই সূচনা হয়েছিল
নতুন বাংলার জনপদ।
এদেশের আকাশে ছিল সেদিন,
কালো মেঘের কুয়াশা।
বঙ্গভবনে বসে আঁকছিলে তুমি,
মানুষ মারার নীলনকশা।
তোমার বিষাক্ত ছোবল থেকে রেহায় পায়নি,
খেলা করা নিষ্পাপ শিশুটিও।
যাকে গুলি করতে তোমার
পাষণ্ড বুক কাঁপেনি এতটুকুও।
হাজারো তরুণের রক্তে,
কালো পিচ হলো লাল।
সন্তানের খুঁজে এদিক ওদিক ছুটে চলা
জনম দুখিনী মা সন্তানকে পেল,
কিন্তু ততক্ষণে খেয়ে নিয়েছে কুকুর আর শিয়াল।
আমি ধিক্কার জানাই,
ধিক্কার জানাই।
মা…… কি করে জন্ম দিলে এমন সন্তান
ভয় করে না বিলিয়ে দিতে জান।
স্বৈরাচারের ভয়াল থাবা ভাঙতে,
বুক পেতে দিবে হয়তো
অন্য কোনো আবু সাইদ- মুগ্ধ।
দাদাদের দেশে বসে করছো ষড়যন্ত্র,
দেশটাকে করেছো বিক্রি,
নতুন করে পড়ছো আবার কোন মন্ত্র?
যদি আবারো কোনো স্বৈরাচার হটাতে হতে হয় রাজাকার,
তবে বলবোঃ
“তুমি কে আমি কে?
রাজাকার রাজাকার।”