নিজস্ব প্রতিবেদন-ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এরশাদুল আহমেদ এর উদ্যােগে ৩১/০৩/২০২৫ইং রোজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সমাজের অসহায়,দুঃস্হ,প্রতিবন্ধী,বোবা, অন্ধ প্রায় ৩০০ জন মানুষদের নিয়ে স্হানীয় বাইতুল কোরআন মাদ্রাসায়। ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ,ঈশ্বরগঞ্জের তত্বাবধানে মধ্যাহ্ন ভোজ ও ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,ইসলামী সমমনা দলের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ,বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ছাত্রবৃন্দ, আলেম-ওলামাবৃন্দ,সাংবাদিকবৃন্দ,সেনাবাহিনীর স্হানীয় ক্যাম্প কমান্ডার,অফিসার ইনচার্জ উপস্হিত ছিলেন।এই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এরশাদুল আহমেদ জানান, সর্বোপরি বাইতুল কোরআন মাদ্রাসার বড় হুজুরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও অন্যান্য সদস্যদের আন্তরিকতায় এতো সুন্দর আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের বেশি বেশি ভালো কাজ করার তৌফিক দান করুন,আমিন। স্থানীয় জনগন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যােগে আনন্দিত। তারা সমাজের বিত্তশালীদের এমন কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এরশাদুল আহমেদ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আগে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার দ্বায়িত্ব পালন করেন। তখন সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ ও হালুয়াঘাট উপজেলায় হঠাৎ ভারতের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে পুরো উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সেই সময় উদ্ধার কাজ সহ দূর্গম এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ সহ বন্যা পরবর্তী বিধস্ত ঘর বাড়ি মেরামত, রাস্তা সংস্কার সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। যার ফলস্বরূপ জনাব এরশাদুল আহমেদ এর বদলির আদেশে হালুয়াঘাটের জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এখনো তার আশায় তাকিয়ে থাকে হালুয়াঘাটের সীমান্ত উপজেলা হালুয়াঘাটের মানুষ। স্থানীয় লোকজন জানায়, হালুয়াঘাটের ইতিহাসের জনাব এরশাদুল আহমেদ এর মতো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কখনো দেখেনি। তারা এরশাদুল আহমেদ এর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
কমল মল্লিক